SN2024
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:৫৯ অপরাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

বিডিআর হত্যাকান্ডে হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জমা দেন তারা।

পরে গণমাধ্যমে মামলা সম্পর্কে বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পর্দার আড়ালের কুশীলবদের বিচারও দাবি করেন তারা। নিহত সেনা পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তৎকালীন সেনাপ্রধানসহ অনেকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী।

অভিযোগকারীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, তথা; বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ রাইফেলস বিডিআর ধ্বংসের নীলনকশা প্রণয়ন করে। সেই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রথম শিকারে পরিণত হয় বাংলাদেশ রাইফেলসে তৎকালীন কর্মরত পেশাদার, সৎ-দক্ষ, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসারদের একটি অংশ। শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর সেইসব দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদেরকে নিজের স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ও প্রধানতম অন্তরায়-বিপত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে উক্ত সেনা অফিসারদের এবং তাদের পরিবারের উপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সংঘটন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকির নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অন্যান্য আসামিরা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনার পরিকল্পনাধীন স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সহজ ও চিরস্থায়ী করতে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পিলখানা সদর দপ্তরে তৎকালীন বিডিআরে কর্মরত নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার উদ্দেশ্যে তাদের উপর পরিকল্পিতভাবে পদ্ধতিগত উপায়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা সেখানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে। এই ঘটনায় মোট ৭৪ জন প্রাণ হারায়।

এই মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার মাধ্যমে সমগ্র সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতাদর্শ বাস্তবায়ন, লুটপাট, রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো রকম প্রতিবাদ করার সাহস ও শক্তি হারিয়ে ফেলে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

পিলখানা গণহত্যার তদন্ত ও বিচার সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। সেইসঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যেসব নিরীহ, নিরপরাধ ও নির্দোষ বিডিআর জওয়ানদেরকে বছরের পর বছর কারাগারে আটক রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সূত্র-ইত্তেফাক

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলার পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার

ড্রোন অভিযানে টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার অপহৃত ১৮ শ্রমিক

‘ভারতের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক, এটা হতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে’

রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ঝড়ে রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

মসজিদের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘আ.লীগ আবার ফিরবে, জয় বাংলা’

আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো বন্ধে পরিচালিত হবে মোবাইল কোর্ট

উপদেষ্টাকে নিয়ে পার্থের মন্তব্যের ফ্যাক্ট চেক

আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৫ নেতা রিমান্ডে

সাত কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় সমকক্ষ’ করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি

১০

লুণ্ঠিত অস্ত্র ও জেল পলাতক আসামিরা এখনও অধরা

১১

দেশপ্রেমিকরা দেশ ছেড়ে পালায় না : জামায়াত আমীর

১২

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু ২০ জানুয়ারি

১৩

মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে: আসিফ নজরুল

১৪

সীমান্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮

১৬

সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ কক্ষ, প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা পেছাল

১৭

মঙ্গলবার ব্যাংকে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ

১৮

রিজভীর বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: মাওলানা রফিকুল ইসলাম

১৯

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই

২০